২.১.৫ লেয়ারের সুষম খাদ্য তৈরি ও সরবরাহ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
12
12

২.১.৫ লেয়ারের সুষম খাদ্য তৈরি ও সরবরাহ 

লেয়ারের সুষম খাদ্য তৈরি ধাপ:

  • প্রথমে ঘরের মেঝে ঝাড়- দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। 
  • যে সকল খাদ্য উপাদান অধিক পরিমাণে লাগে যেমন- ভুট্টা, গম, কুড়া, সয়াবিন মিল, প্রোটিন কানসেনট্রেট সেগুলো ওজন করতে হবে ও মেঝেতে ঢালতে হবে।
  • খাদ্য উপাদান প্রতিটি ঢালার পর হাত দিয়ে সমান করে ছড়িয়ে দিতে হবে। 
  • পরিমাণে কম লাগে এমন উপাদান (ভিটামিন, ডিসিপি, লাইসিন, মিথিওনিন, লবণ, খনিজ মিশ্রণ ওজন করে এক সঙ্গে ভালোভাবে মেশাতে হবে।
  • এ মিশ্রণকে পূর্বের খাদ্য উপাদানের স্তুপের উপর সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। 
  • এর পর হাত দিয়ে বা মেশিনের সাহায্যে ৩-৪ বার খাদ্য ভালোভাবে মেশাতে হবে।
  • সমস্ত মিশ্রণেকে বস্তায় ভরে মজুদ করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে হবে। 
  • এ ধরণের মিশ্রিত খাদ্যকে ম্যাশ খাদ্য বলে ।

সুষম খাদ্য তৈরির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনঃ

  • রেশন ফর্মুলেশনের পূর্বে অবশ্যই খাদ্য উপকরণের পুষ্টিগত গুণাগুণ এবং ভৌত অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে। 
  • ভেজা ছত্রাকযুক্ত, দলাপাকা এবং দূষিত খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না ।
  • খাদ্যে জলীয় অংশের পরিমাণ কখনও ১২ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না । 
  • ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে এবং অপরিচ্ছন্ন স্থানে খাদ্য মিশ্রণ করা যাবে না।
  • খাদ্য তৈরির পর অধিক সময় ধরে খাদ্য মাটিতে বা মেঝেতে ফেলে রাখা যাবে না । 
  • খাদ্য প্রস্তুতকারীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

সুষম খাদ্য সংরক্ষণ :

  • খাদ্য সংরক্ষণাগারে / গুদামে সঠিক বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে যা খাদ্যকে আর্দ্র হওয়া থেকে মুক্ত করবে। 
  • খাদ্য বস্তা মেঝে/ মাটিতে না রেখে কিছুটা উঁচুতে তাক বা মাচা করে রাখতে হবে।
  • খাদ্য বস্তা দেয়াল ঘেঁষে রাখা উচিত নয়। 
  • খাদ্য গুদাম বিষাক্ত পোকামাকড়, ইঁদুর এবং কীটপতঙ্গ মুক্ত হতে হবে।
  • বৃষ্টির পানি যেন খাদ্য গুদামে না প্রবেশ করে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 
  • সরাসরি রোদের আলো থেকে দূরে শুষ্ক স্থানে খাদ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
  • খাবারের ব্যাগের মুখ খোলা থাকলে বাতাসে অধিক আর্দ্রতার কারণে ফাংগাস জন্মাতে পারে সে জন্য মুখ বন্ধ রাখতে হবে।
  • খাবার খোলা অবস্থায় মাটিতে স্তূপ আকারে রাখা সঠিক নয়, কারণ স্তূপে অধিক তাপ উৎপাদন হয়ে খাদ্যের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
  • খাদ্যের সাথে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকনাশক ব্যবহারের অন্তত ২৪ ঘন্টা পর সেই খাদ্য ব্যবহার করতে হবে।
  • খাবারের পাত্রে মুরগি যাতে পায়খানা করতে না পাওে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। 
  • মিশ্রিত খাদ্য বেশি দিন রাখা যাবে না, তিন দিনের বেশি খাদ্য একবারে তৈরি করা যাবে না । 
  • মুরগির খাদ্য ও ডিম একত্রে রাখা যাবে না।

 

 

Content added By
Promotion